ব্রেকিং নিউজ
পাইকগাছায় সাবেক ইউপি সদস্যের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুরের সুধী সমাজ ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হাজীগঞ্জে বিয়ের ৪ মাসের সন্তান প্রসব নববধূ আগামীকাল রবিবার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ , জানা যাবে যেভাবে পাইকগাছায় লবন পানি বন্ধের দাবীতে পথসভা অনুষ্ঠিত দাকোপে হকার্স ইউনিয়নের আহবায়ক কমিটি গঠন
×

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩/২/২০২৪, ১১:৩৪:২১ PM

স্বামীকে তালাক দিয়ে বান্ধবীকে নিয়ে পালানো তরুণী গ্রেপ্তার

ফেসবুকে পরিচয়। এরপর প্রেম। বান্ধবীকে ভালোবেসে স্বামীকে তালাকও দিয়েছেন তিনি। বলছি বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী সহিদুল ইসলামের মেয়ে কলেজছাত্রী মিম আক্তারের কথা। এরপর দুই দফা চেষ্টার পর তৃতীয় দফায় বান্ধবীর সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে সংসার বাঁধেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। মায়ের দায়ের করা অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তার বান্ধবী রোবার লিজা। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে কলেজছাত্রী মিমসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ফেসবুকে পরিচয়। এরপর প্রেম। বান্ধবীকে ভালোবেসে স্বামীকে তালাকও দিয়েছেন তিনি। বলছি বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী সহিদুল ইসলামের মেয়ে কলেজছাত্রী মিম আক্তারের কথা। এরপর দুই দফা চেষ্টার পর তৃতীয় দফায় বান্ধবীর সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে সংসার বাঁধেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। মায়ের দায়ের করা অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তার বান্ধবী রোবার লিজা। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে কলেজছাত্রী মিমসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তাদের বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক বেগম সুমাইয়া রিজভী মৌরী বান্ধবী লিজাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। আর লিজাকে ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে যেতে আপত্তি জানালে কলেজছাত্রী মিমকে পাঠানো হয়েছে সেভ হোমে। এমন ঘটনায় বরিশাল আদালত প্রাঙ্গণে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

মিম আক্তারের পরিবারের দাবি, লিজা তার মেয়েকে ইনজেকশন দিয়ে অবচেতন করে রেখেছে। লিজার সাথে কেন যাবে, তা জানতে চাইলে মিম অস্বাভাবিক জবাব দিত বলে জানান তার ভাই নাঈম হোসেন।

মিমের বোন ফাতিমা জানিয়েছেন, তার বোনের ঢাকার হাজারিবাগ এলাকার শংকর জাফরবাদ ২৮৩/১ এর ইসলাম মঞ্জিলের মোজাম্মেল হকের মেয়ে রোবার লিজার ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম হয়। পরবর্তীতে কোনো ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হতো না মিম। বরং রোবার লিজাকে বিয়ে করবে বলে বায়না ধরে। আর এজন্য পাঁচ বছর আগে বিয়ে হওয়া স্বামীকেও তালাক দেয় মিম। কয়েক দিন আগে মিমদের বাড়িতে বেড়াতে যান লিজা। কদিন পরেই লিজার সঙ্গে পালিয়ে যায় মিম। তখন পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হয় মিম। কিন্তু দ্বিতীয়বার আবারও পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয় তারা। কিন্তু হাল ছাড়েননি মিম আর লিজা। অবশেষে চলতি বছরের গত ২৫ জানুয়ারি পুনরায় লিজার সঙ্গে পালিয়ে যায় মিম।

এ ঘটনায় মিমের মা জিয়াছমিন বাদী হয়ে আদালতের সহযোগিতায় মুলাদী থানায় লিজাসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে মিমসহ গ্রেপ্তার করা হয় লিজাকে।

মুলাদী থানার ওসি মো. জাকারিয়া বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে সোমবার অভিযান চালিয়ে হাজারীবাগ এলাকা থেকে অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং লিজা খান নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত কিশোরী মিমকে পাঠানো হয়েছে সেফ হোমে ও গ্রেপ্তার নারী লিজাকে আদালত থেকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।